Bangla breaking news : প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের হটস্পট হিসেবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে।বিগত এক মাসে এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কমপক্ষে ২৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ২ জন। আতঙ্ক, উদ্বেগ আর উৎকন্ঠার মধ্যে বেশির ভাগ মানুষ এখন ঘরবন্দি।
এ অবস্থায় বেকার, দুঃস্থ, অসহায় ও কর্মহীন মানুষের মধ্যে বিগত আড়াই মাস ধরে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনের সংসদ সদস্য, জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব, প্রেসিডিয়াম সদস্য, কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি লিয়াকত হোসেন খোকা।
বুধবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় করোনায় আক্রান্ত রোগীর বাড়ির আশপাশে লকডাউনে থাকা ১৬২টি পরিবারের মধ্যে তিনি খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
এছাড়াও তিনি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে বিভিন্ন এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ত্রাণ বিতরণ, করোনা রোগীর লাশ দাফন ও জনসচেতনতার কাজে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবক অমিত হাসান মিরাজ করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় তার বাড়িতেও খাদ্য সামগ্রী প্রেরণ করা হয়।
এছাড়াও বুধবার জামপুর ইউনিয়নের ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডে সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার পক্ষে ১২’শ ৬০টি খাদ্য সামগ্রী হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে উপহার হিসেবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার পক্ষে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন- উপজেলা জাতীয় পার্টির নেতা জাবেদ রায়হান জয় ও আনিসুর রহমান বাবু, সোনারগাঁ পৌরসভার কাউন্সিলর জাহেদা আক্তার মনি, নারী নেত্রী জাহানারা আক্তার ও ফজলুল হক মাষ্টার।
এসময় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন- সানাউল্লাহ বেপারী, গোলজার হোসেন, আলি আকবর ও ফারুক হোসেন প্রমুখ।
এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা বলেন, আমি ঘরে বসে থাকবো আর সোনারগাঁওয়ের লোকজন না খেয়ে মারা যাবে এটা চিন্তাও করা যায় না। করোনাভাইরাসের এই বিপদের মুহূর্তে আমি অবশ্যই বেকার, দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের পাশে আছি, থাকবো ইনশাআল্লাহ।
প্রতিদিন গ্রামে গ্রামে গিয়ে দুঃস্থ, অসহায় ও নিম্ন আয়ের পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, লবণ, আলুসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, জীবাণুনাশক, সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক ও নগদ টাকা বিতরণ করছি, ভবিষ্যতেও করবো।
যতোদিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হবে ততোদিন এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। প্রতিদিন হটলাইন ফোন দিলেই মাইক্রোবাস সার্ভিসে খাবার সামগ্রী নিয়ে ঘরে ঘরে হাজির হচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবকরা।
তিনি আরও বলেন, করোনায় আক্রান্ত রোগীর জন্য তিনি বিশেষ ব্যবস্থায় ৫টি এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করেছেন। রোগীদেরকে ঢাকার হাসপাতালে আনা-নেয়া করার জন্য প্রতিনিয়ত এ এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস কাজ করছে।
আরও পড়ুন :কারওয়ান বাজারে এক ডাবের দাম ১০০ টাকা