Today bangla news : বরিশালে আশ্রয়দাতাকে বেঁধে রেখে গণধর্ষণের পর এক তরুণীকে অপহরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে নগরীর আমতলা থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ধর্ষণের অভিযোগে ভণ্ড পীরের বিরুদ্ধে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বরিশাল : নগরীর ইসলাম পাড়ায় তরুণীকে আশ্রয়দাতা জুয়েল ও তার স্ত্রী লাকি জানান, কয়েকদিন আগে ওই তরুণী তাদের বাড়িতে আশ্রয় নেন। তরুণীর বিরুদ্ধে অসামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগ এনে কিছু যুবক বুধবার রাত ৮টার দিকে আশ্রয়দাতার বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় আশ্রয়দাতা জুয়েলকে মারধর করে একটি কক্ষে আটকে রাখে এবং পাশের ঘরে তরুণীকে ধর্ষণ করে।
ওই তরুণীর সঙ্গে আশ্রয়দাতাকে উলঙ্গ করে বসিয়ে ভিডিও ধারণ করে। পরে যুবকরা ওই বাড়িতে লুটপাট চালিয়ে তরুণীকে নিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার কোতোয়ালি থানায় ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেন জুয়েল।
এ ঘটনা জানার পর ওই রাতেই কোতোয়ালি থানার এসআই মাহাবুব ঘটনাস্থলে গিয়ে যুবক ফরিদকে আটক করেন। পাশাপাশি আশ্রয়দাতার পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। ফরিদ বরগুনার আমতলী উপজেলার ইব্রাহিমের ছেলে। তিনি ইসলাম পাড়ায় ভাড়া থাকেন এবং শ্রমিকের কাজ করেন।
আরও পড়ুন: বেগম জিয়ার দুর্নীতির গন্ধ ছড়াবে এবার বিদেশেও: তথ্যমন্ত্রী
কোতোয়ালি থানার ওসি (অপারেশন) নুরুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় নগরীর আমতলা এলাকা থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় আল আমিন নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান নুরুল ইসলাম।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঞা জানান, এ ঘটনায় এরই মধ্যে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। দুই যুবককে আটক করা হয়েছে, পাশাপাশি পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মামলার অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ ঘটনার সঙ্গে জুয়েল, শুভ, মাহাবুব ও আল আমিন নামের স্থানীয় বখাটে জড়িত রয়েছে বলে জানিয়েছেন তরুণীর আশ্রয়দাতা জুয়েল ও লাকি দম্পতি। ওই তরুণীর বিস্তারিত পরিচয় জানেন না বলে জানিয়েছেন দম্পতি।
চট্টগ্রাম : এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন ওরফে নেজাম মামা নামে এক ভণ্ড পীরকে জিজ্ঞাসাবাদে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফি উদ্দিনের আদালত এ রিমান্ডের আদেশ দেন।
১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার আরেফিন নগরে মুক্তিযোদ্ধা কলোনির ‘নেজামে খানকা’ থেকে কথিত ওই পীরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন ওরফে নেজাম মামা হাটহাজারী উপজেলার ফতেয়াবাদের সাহাবুদ্দীন চৌধুরীর ছেলে। তিনি আরেফিন নগরে মুক্তিযোদ্ধা কলোনিতে থাকতেন।