সদ্যঃপ্রয়াত আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর সঙ্গে হৃদয়ের সম্পর্ক ছিল জানিয়ে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, ‘নূর হোসাইন কাসেমীর সঙ্গে আমার হৃদয়ের সম্পর্ক ছিল। তাকে হারিয়ে আমরা কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হলাম তা বলা যাবে না।’
আজ সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) বায়তুল মোকাররমে নূর হোসাইন কাসেমীর জানাজার আগে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, আল্লামা কাসেমী দেশের সবচেয়ে বড় অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও ঢাকা মহানগরীর সভাপতি ছিলেন। পরে তিনি মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছিলেন। উনি বাতিলের সঙ্গে আপস করেননি। কোনো হুমকি-ধমকিতে ভয় করেননি। আমরা তার কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করব ইনশাল্লাহ।
কাসেমীর ছোট ভাই মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস তার বড় ভাইয়ের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়ে বলেন, জাতি আজ তার এক সুসন্তানকে হারিয়েছে। আপনারা সবাই তাঁর রুহের মাগফেরাতের জন্য দোয়া করবেন।
আল্লামা কাসেমীর ছোট ছেলে মুফতি জাবের কাসেমী তার বাবার জানাজা পড়ান।
জানাজায় মুফতি মাওলানা শফিক আহমেদ কাসেমী, বাবুনগরী মাদরাসার মহাপরিচালক মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী, মুফতি দিলাওয়ার হুসাইন, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মজিবুর রহমান, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, মহাসচিব অ্যাডভোকেট ফারুক রহমান, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের, মাওলানা মামুনুল হক, মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি, মাওলানা জুনাইদ আল হাবীব, মুফতি হাবিবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমী, খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবীসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম-উলামাসহ লাখো মানুষ অংশ নেন।
জানাজার পর তাঁর মরদেহ আল্লামা কাসেমী প্রতিষ্ঠিত জামিয়া সুবহানিয়া মাহমুদনগর, ধউর, মাদরাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।
এর আগে রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী।
source